তালমিছরিতে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস। থাকে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬ ও বি১২। যার ফলে সর্দি-কাশি গলাব্যথা সবেতেই ব্যবহার করা হয় এই তালমিছরির। তালমিছরি পানিতে গুলে হালকা গরম করে খেলে কাশি হয় এবং গলায় জমে থাকা কফ, শ্লেষ্মা দূর হয়।
তালমিছরি প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি মিষ্টি হওয়ার ফলে একে বলে প্রকৃতিক চিনি। রক্তে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধির নিয়ামক গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স (GI) স্বাভাবিকভাবে অন্যন্য খাবারে থাকে ৫৫%, কিন্তু তালমিছরিতে তার পরিমাণ মাত্র ৩৫%। তালমিছরিতে আছে প্রচুর পরিমাণে এসেনশিয়াল ভিটামিনস, মিনারেলস (ক্যালশিয়াম, পট্যাশিয়াম, আইরন, জিঙ্ক, ফসফরাস ইত্যাদি) আর আমাইনো এসিডস। একটি অল্প লভ্য ভিটামিন, বি ১২, যা মূলত আমিষাশী খাবারেই পাওয়া যায়, তা তালমিছরিতে পাওয়া যায়।[৩]
তাল মিছরি অনেক উপকারী গুণ সমৃদ্ধ। যেমন- আনিমিয়া, হাড়ের সমস্যা, সর্দি কাশির উপশম, চোখের দৃষ্টি বাড়ানো, কিডনি স্টোন, পেটে ব্যথা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মুখের আলসার, কন্সটিপেশন, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ, ডায়রিয়া, শিশুদের ব্রেন ডেভেলপমেন্ট, আর্থারাইটিস, শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা, স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ও তালমিছরি খুব উপকারী।